উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দেয়ার নিয়ম

কি অবস্থা সবার? আজকের লেখা পড়েই ত বুঝতে পারছেন আজকে Windows 10 Operating system Install দেওয়া নিয়ে কথা বলবো । এবং আপনাদেরকে Installation প্রসেস সম্পর্কে বোঝাবো। এবং কিভাবে আপনারা সম্পুর্ণ অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল দিবেন সেটা নিয়েও আজ আপনাদেরকে বোঝাবো। অনেকেই উইন্ডোস ইন্সটল দেওয়ার নিয়ম জানলেও সম্পূর্ন প্রসেস জানে না। ফলে সেটাপ দিলেও ল্যাপটপ কম্পিউটার অনেক স্লো হয়ে থাকে। যা অনেক কম্পিউটারের স্বাস্থের জন্য অনেক ক্ষতিকর। 

আমরা সকলেই জানি প্রতিটি কম্পিউটার র‌্যাম হার্ডডিষ্ক মাদারবোর্ড সহ বিভিন্ন কম্পোনেন্ট দিয়ে তৈরি। কিন্তু অনেকেই জানে না প্রতিটি কম্পিউটারের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা অপারেটিং সিস্টেম আর্কিটেকচার। সাধারনভাবে আমরা সবাই জানি কম্পিউটার ২ধরনের বিট এভাইলেবল। ৩২ বিট(X86) এবং অন্যটি হলো ৬৪ বিট(X64) বিট। 

উইন্ডোস দেওয়ার সময় আমাদের ভিতরে অনেকেই জানে না তার পিসির জন্য সঠিক বিট এবং আর্কিটেকচার কি? এটা সবার জন্যই জেনে নেয়া উচিত। তবে পিসির র‌্যাম যদি ৪জিবি হয় তাহলে ৬৪ ইন্সটল দেওয়াই ভালো। 

এটা ত গেলো বিটের কথা। এখন আসি আসল কথায়, যেখানেই সবাই ভুল করে । আমরা হরহামেশাই ইন্টারনেট থেকে উইন্ডোস ডাউনলোড করে থাকি। কিন্তু কেউ জানি না এগুলো অরিজিনাল ভারশন কিনা বা আপডেটেড কিনা। সবার উচিত মাইক্রোসফ এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে উইন্ডোস ডাউনলোড করা। এবং কিভাবে আপনার কম্পিউটারের জন্য পারফেক্ট উইন্ডোস টি ডাউনলোড করবেন সেটা এখান থেকে দেখে নিন। কখনো ভেবে দেখেছেন, মানুষ এর একজনের জামা অন্য জনের বডিতে ফিট হয় কিনা। কখনই হয় না। তেমন একএকটি কম্পিউটারের জন্য রয়েছে একেক রকমের আর্কিটেকচার এবং একে রকর্মের সাপোর্টং সফটওয়ার। সেজন্য আমাদের উচিত সবসময় অফিসিয়াল সাইট থেকে উইন্ডোস ডাউনলোড করা। সেজন্য অবশ্যই অবশ্যই উপরের লিংক থেকে পোষ্ট টি পড়ে আসবেন।

যা যা প্রয়োজন:

* উইন্ডোস দিতে গেলে আপনাকে কমপক্ষে ১৬ জিবির একটি পেনড্রাইভ লাগবে। নূন্যতম ইউএসবি ৩.০ হলে ভালো হয়।

* পর্যাপ্ত পরিমান ইন্টারনেট, যদি বাসায় Wifi না থাকে তাহলে ১০ জিবি নেট কেনা থাকলে ভালো হয়।

*  উইন্ডোস সেটাপ দেওয়ার পর , যেসকল সফটয়ার সেটাপ দেয়া লাগবে , যেমন ড্রাইভার, ফন্ট, প্লেয়ার, অফিস সেটাপ, ব্রাউজার এবং জাবতীয় সকল জিনিস আপনার কম্পিউটারে C Drive বাদে অন্য কোনো ড্রাইভে রেখে দিবেন। যেন উইন্ডোস সেটাপের পর সেগুলো ইন্সটল করতে পারেন।

* হাতে ৬-৭ ঘন্টা সময়। কারন: অনেকেই মনে করে উইন্ডোস দিলেই হয়ে যায়। কিন্তু উইন্ডোস দেওয়ার পরেও অনেক কাজ থাকে। অরিজিনালি উইনোডস সেটাপ দিতে ২০ মিনিট ই যথেষ্ট। কিন্তু সেটাপোর পর পিসি সাজাতে গেলেই ৫-৬ ঘন্টা অটোমেটিক চলে যায়। কারন ড্রাইভার সেটাপ। আপেডট ইন্সটল এগুলোতে বহু সময় যায়। 

আর হ্যা অবশ্যই একটি এক্সট্রা এন্টিভাইরাস ব্যাবহার করা ভালো। আসলে মাইক্রোসফট এর যে ডিফেন্ডার এইন্টভাইরাস রয়েছে তা ইন্টারনেট সিকিউরিটির জন্য যথেষ্ট নয়। আমি সাজেষ্ট করবো আপনারা অবশ্যই একটা এন্টিভাইরাস কিনে ব্যাবহার করার চেষ্টা করবেন। এতে করে ইন্টারনেট ব্যাবহার এর সময় ডাটালস থেড বা ভাইরাস থেকে বাচতে পারবেন। সবসময়ই নিরাপত্তার কথা আগে চিন্তা করবেন। অনেকে ইন্টারনেট সিকিউরিটি ব্যাবহার করে না তারা র‌্যানসমওয়্যার এর জন্য ডাটা হারায়। 

আরেকটি বিসয় ানেকে উইন্ডোস একটিভ করার জন্য অনলাইন থেকে বিভিন্ন টুলস ডাউনলোড করে ব্যাবহার করে থাকেন। কিন্তু এসকল টুলস এ ট্রোজান ভাইরাস থাকে। যা আপনার পিসির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এবং ডিফেন্ডারও দেখবেন এগুলিকে ভাইরাস হিসেবে ধরে। সেজন্য চেষ্টা করবেন উইন্ডোস কি ৩০০টাকা দিয়ে কিনে নেওয়ার জন্য। অনলাইনে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ অল্প দামে উইন্ডোসের জেনুইন অফিসিয়াল কি বিক্রয় করে। তাদের কাছ থেকে কি কিনে সেটা সারাজীবন একটা কম্পিউটারে ব্যাবহার করতে পারবেন। তাহলে ভাইরাস ধরার সম্ভাবনা থাকবে না। এবং আপনিয় নিরাপদ থাকবেন।

যাই হোক ব্যাসিক কিছু কথা বলা শেষ করলাম। এখন আপনাদের জন্য আমি A টু Z একটা কম্পিলিট টিউটোরিয়াল বানিয়েছি। যেটার মধ্যে টোটাল ২ঘন্টাতে আমি উইন্ডোসের অনেক বিসয় বুজিয়ে বলেছি। এবং সরাসরি প্রসেস এবং উইন্ডোস দিয়ে দেখিয়েছি।  ইন্টারনেটে যে সেকল টিউটোরিয়াল পাবেন সবই প্রায় কোনরকম ৫-১০ মিনিটের। কিন্তু কেউ ই ১০০% দেখায় না। কিন্তু আমি চেষ্টা করেছি সবকিছুই আপনাদেরকে বুঝাতে। আশাকরা যায় আপনারা বুঝবেন। তবে যেহেতু বড় ভিডিও অবশ্যই রিলাক্স হয়ে তারপর ভিডিও এবং উইন্ডোস দিতে বসবেন।

ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=yLxXpQF1n1o




Post a Comment

1 Comments

  1. Nice Great post. Wonderful information and really very much useful. Thanks for sharing and keep updating Thank You so much for sharing this information. I found it very helpful.Thank you so much again.
    Tech

    ReplyDelete